হাবিপ্রবি’র সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষার দাবি ১৯ ও ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের

Admission News Result আপডেটঃ ১৮ নভে, ২০২১

 

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)  © ফাইল ফটো

সশরীরে শিক্ষা-কার্যক্রম চালু করেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে ফিরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকাংশ শিক্ষার্থী। তবে ক্যাম্পাসের বাইরে রাখা হয়েছে ১৯ ও ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের। সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি তাই তারা সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের আলোচনা সভা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, ২০২০ ও ২০১৯ সালে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী এবং তাদের সাথে রি-অ্যাড হওয়া শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা চালু থাকবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে পরবর্তীতে অফলাইনে পরীক্ষা ও ক্লাস শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তিন সপ্তাহ পার হলেও সশরীরে ক্লাসের সুযোগ এবং হলে ওঠার বিষয়ে নতুন কেনো নির্দেশনা না পাওয়ায় দ্বিধায় আছেন এই দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সংকট থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই মেসে অবস্থান করছেন অনেক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্যাম্পাসে সশরীরে ক্লাস শুরু না হলেও টিউশন, মেসের সিট রেখে পড়াশোনাসহ নানা কারণে অনেকেই অতিরিক্ত খরচ বহন করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছেন। আর করোনা সংক্রমণের হারও কম। তাই আসন্ন একাডেমিক কাউন্সিলে এই দু’ব্যাচের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসুক এটাই কামনা তাদের।

এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক ড. শ্রীপতি সিকদার বলেন, ‘এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেবে।’

তবে কবে একাডেমিক কাউন্সিল হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নির্দিষ্ট কোন তারিখ উল্লেখ না করে বলেন, ‘আশা করি খুব শীঘ্রই একাডেমিক কাউন্সিল হতে পারে।’

উল্লেখ্য, এর আগে হাবিপ্রবির ৫৮তম একাডেমিক কাউন্সিলে গত ১৮ অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে হল খোলা এবং ২১ অক্টোবর থেকে সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অন্যান্য ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url