শিক্ষকদের হুমকির পর পর্যালোচনা কমিটি করলো ইউজিসি

এডুকেশন হিরো আপডেটঃ ২৭ জুন, ২০২৩

 


আগামী ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। কমিশন সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের তীব্র আপত্তির জেরে জুলাই থেকে নীতিমালাটি বাস্তবায়ন না করে বরং পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।


ইতোমধ্যে নীতিমালা পর্যালোচনার জন্য ইউজিসি সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দকে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৬ জুন) ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ কমিটি গঠন করা হয়।


অফিস আদেশে বলা হয়, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে আর্থিক বিষয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন এবং আর্থিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ইউজিসি কর্তৃক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য ‘অভিন্ন আর্থিক ও হিসাব ম্যানুয়াল’ প্রস্তুত করা হয়। যা কমিশনের ১৬৪তম সভায় বাস্তবায়নের জন্য সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। উক্ত নীতিমালাটি পর্যালোচনা করে মতামত/সুপারিশ পেশ করার জন্য কমিটি গঠন করা হলো।


কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. তোফাজ্জল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া।


এ বিষয়ে ইউজিসির সদস্য সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘আর্থিক নীতিমালা পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ যেহেতু কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের প্রতিবেদন পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে৷ এর আগেতো নীতিমালা কার্যকর করা যাবে না। একারণে বলা যায় যে, ১ জুলাই থেকে নীতিমালা কার্যকর হচ্ছে না।


এর আগে ১৯ মে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ জানিয়েছিলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত ও অনিয়ম, ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিত করতে অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা এবং হিসাব ম্যানুয়াল প্রণয়ন করা হয়েছে, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে।


তবে পরবর্তীতে এ নীতিমালার তীব্র বিরোধিতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সর্বশেষ গত ২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। বিবৃতিতে আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে এটি বাতিল করা না হলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হয়।


উল্লেখ্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম ঠেকাতে এ নীতিমালায় জাতীয় পে-স্কেলের আওতাধীন ব্যয় বাদে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সম্মানী, ভাতা ও পারিতোষিকের হার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url