করোনায় ‘বিকল্প শিক্ষা পদ্ধতি’ জানাল ছাত্র ফেডারেশন
Admission News Result আপডেটঃ ৩০ জুল, ২০২১
করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে বন্ধ রাখা হয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ৫০০তম দিন পূর্ণ হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে বন্ধ শিক্ষাব্যবস্থায় গতি ফেরাতে কার্যক্রম চালুর পাশাপাশি ‘বিকল্প শিক্ষা পদ্ধতি’র পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর শাখা বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ‘‘বিকল্প শিক্ষা পদ্ধতি’’ শিরোনামে ৪ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ের বিকল্প শিক্ষব্যবস্থা কথা তুলে ধরা হয়।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিকল্প শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়নে ‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে’ ক্লাস রুমের বদলে গ্রাম ও মফস্বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ এবং শহর এলাকায় কমিউনিটি ক্লাবে সরাসরি পাঠদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
উচ্চমাধ্যমিকে প্রতি বিভাগের (মানবিক-ব্যবসায়-বিজ্ঞান) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে একদিন করে সরাসরি পাঠদানের ব্যবস্থা করা যায়। টেকনিকাল ইনস্টিটিউশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়ে দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। একইসঙ্গে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষকে সরাসরি পাঠদানে অন্তর্ভুক্তকরণ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে নিজ পরিবহন ব্যবস্থায় প্রতিটি বিভাগকে সপ্তাহে অন্তত একদিন সরাসরি পাঠদান সুযোগের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়াও গ্রাম-মফস্বল-শহর সব এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা অঞ্চলভেদে কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য ‘শিক্ষা পরিবহন’ চালুর দাবি জানানো হয়েছে শাখা ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।
চট্টগ্রাম নগর শাখা বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক কাজী আরমান বলেন, কেবল শিক্ষার্থীদের যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা অঞ্চলভেদে পরিবহন ব্যবস্থার আওতায় আনা যায় এতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমরা একটি বিকল্প দেখিয়েছি, আরো উত্তম বিকল্প থাকতে পারে, সেটি বিশেষজ্ঞদের ভাবনার বিষয়। কিন্তু ৫০০ দিন পেরিয়ে হলেও কালক্ষেপণ না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রকে উদ্যোগী হতে হবে।
এর আগে, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি উঠে। এটি নিয়ে রাজপথে কর্মসূচিও হয়েছে। এসময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবিসহ বিকল্প শিক্ষা পদ্ধতি প্রস্তাব করা হয়।
চট্টগ্রাম নগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুর রূদ্র বলেন, গত ৫০০ দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ দেশের শিক্ষার্থীরা আজ অসহায়, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ও দিশাহীন। আমরা মনে করি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে রাখা শেষ কথা নয়, এর বিকল্প ছিল এবং এখনো আছে। বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ছাত্র সমাজকে আমরা এই বার্তাটি পৌঁছে দিতে চেয়েছি।