সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করতে অনুমতি লাগবে-Education Hero

এডুকেশন হিরো আপডেটঃ ৫ জুল, ২০২৩

 


স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করার আগে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে। এমন বিধান রেখে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) জাতীয় সংসদে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল- ২০২৩’ পাস হয়েছে।


এতে স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, অবসর সুবিধা সরকারি চাকরি আইনের আওতায় আনা হয়েছে।


‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ নামে মঙ্গলবার সংসদে বিলটি তোলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। উত্থাপিত বিলের ৪১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে হইলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।’ তবে এ বিষয়ে সরকারের করা লিভ টু আপিল এখনো দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন। বিষয়টি নিষ্পত্তির আগেই সংসদে বিল আনলেন প্রতিমন্ত্রী।


জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, এ আইন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।


তিনি বলেন, ফৌজদারি মামলায় অভিযোগ গঠনের আগে যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়। এজন্য কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের অভিযোগ গ্রহণের আগে গ্রেপ্তার করা যাবে না। এটা আইনের চোখে সবাই সমান এ নীতির পরিপন্থি।


গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ‘জনপ্রশাসনে আজ চরম বিশৃঙ্খলা। তারা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স মানে না। প্রজাতন্ত্রের কিছু কিছু কর্মচারী নিজেকে স্বঘোষিত মার্শাল আইয়ুব খান বা তার অনুসারী ভাবেন। তাদের ইচ্ছেমতো স্বাধীন ও জনস্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।’


বিলটি জাতীয় সংসদে পাসের জন্য তোলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে সংসদে পাস হয়।


সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল, ২০২৩-এ বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ১৫, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ ধারার বিধান স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকারের অধীন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।


২০১৮ সালের আইনের ১৫ ধারায় বলা আছে, সরকারি গেজেটে আদেশের মাধ্যমে কোনো সরকারি কর্মচারী বা সব সরকারি কর্মচারীর বা সরকারি কর্মচারীর কোনো একটি অংশের জন্য বেতন, ভাতা, বেতনের গ্রেড বা স্কেল, অন্যান্য সুবিধা ও প্রাপ্যতা বা অবসর সুবিধা সম্পর্কিত শর্তাদি নির্ধারণ করতে পারবে সরকার।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট 


এই নিউজের ইংরেজি ভার্সন দেখতে ক্লিক করুন 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url