এ বছরই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন

Admission News Result আপডেটঃ ২৭ জুন, ২০২৩

 


দীর্ঘ ৬ বছর পর সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এরই মধ্যে সমাবর্তন আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন আয়োজনে নতুন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। সৌজন্য সাক্ষাতে পাওয়া গেলে উনাকে নিয়ে এ বছরের শেষের দিকে এই সমাবর্তনের আয়োজন করার চেষ্টা থাকবে। যদি কোন কারণে পিছিয়ে গেলে জাতীয় নির্বাচনের পরপরই আগামী বছরের শুরুর দিকে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। 


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। গত ৩১ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র একবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে এ সমাবর্তন হয়। এরপর ৬ বছর পর ২য় সমাবর্তন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 


গত ৩০ এপ্রিল গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে গত দুইবছরের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়নে বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। 


এরপর গতকাল রবিবার (২৫ জুন) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে সমাবর্তন আয়োজনের বিষয়ে কথা হয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমানের সঙ্গে। করোনাকালীন সময়ের কারণে দ্বিতীয় সমাবর্তন পিছিয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চ্যান্সেলর ও সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ের মধ্যে এই সমাবর্তন করতে চেয়েছিলাম। 



শেষের দিকে কোভিড পরিস্থিতির পাশাপাশি চ্যান্সেলরের সময় স্বল্পতার কারণে সমাবর্তন পিছিয়েছে বলে জানান ড. মশিউর রহমান। তিনি জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২য় সমাবর্তনের পত্র দেয়ার পর সাবেক রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ তার পক্ষে উপস্থিত হওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। 


উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে সমাবর্তন করতে পারলে সেটাও নিঃসন্দেহে আনন্দের। তবে মন্ত্রীও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে আয়োজিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিজে থাকলে ভালো। শেষের দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতির নানান ব্যস্ততার কারণে আর সেটি আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।


 এবছরই দ্বিতীয় সমাবর্তন আয়োজন করার কথা উল্লেখ করে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি; ২০২৩ সালের মধ্যেই দ্বিতীয় সমাবর্তন আয়োজন করার চেষ্টা করব। 


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে এই বছরেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন করার স্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. মশিউর রহমান। তিনি জানান, ইতিমধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। উনাকে নিয়ে এই শীতেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আয়োজন করার চেষ্টা থাকবে। কোন কারণে পিছিয়ে গেলে নির্বাচনের পরপরই ২য় সমাবর্তন হবে। 


এই সমাবর্তনে কত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, আগের বার ১ম সমাবর্তন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারও যদি সেটি বিবেচনা করে বলি তাহলে এতে আড়াই হাজারের বেশি ধারণ ক্ষমতা নেই এর বেশি সম্ভব না। আগে রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সমাবর্তনে শেষ সনদ সবাইকেই দেয়া হবে।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন করারও ইচ্ছে আছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url