জুলাইয়ে ঢাকায় আসছেন মার্টিনেজ

এডুকেশন হিরো আপডেটঃ ২৭ জুন, ২০২৩

 



বিশ্বকাপ জয়ের পর লিওনেল মেসিদের বাংলাদেশে আনতে চেষ্টাও করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল সংস্থা। তবে দেশে মাঠের অভাবের কারণে আলোর মুখ দেখেনি সেই চেষ্টা। ঠিক সেই মুহূর্তেই সুখবর পেলেন বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন ভক্তরা। পুরো দল না আসলেও ঢাকায় আসছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।


সোমবার (২৬ জুন) নিজের ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মার্টিনেজ বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ভারতীয় উপমহাদেশে আমার সফর শুরু হবে ৩ জুলাই। যাত্রা শুরু হবে বাংলাদেশে, যেখানে আমি ফান্ডেড নেক্সট এবং নেক্সট ভেঞ্চারস-এর দলগুলির সাথে দেখা করার সুযোগ পাবো। আমাদের এই সাক্ষাৎ ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার সুর তৈরি করে দেবে। বাংলাদেশে দেখা-সাক্ষাৎ শেষে আমি কলকাতায় যাব, শুরু হবে আমার আড়াই দিনের ভারত অভিযান। আমি এই রোমাঞ্চকর অভিযান নিয়ে খুবই আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।’


তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই যাত্রায় যে বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা পাব, সেটা নেওয়ার প্রত্যাশায় আছি।’


মূলত আগামী ৪-৫ জুলাই দুদিনের কলকাতা সফরে আসছেন মার্টিনেজ। কলকাতার স্পোর্টস প্রমোটার কোম্পানি শতদ্রু এসোসিয়েটস মার্টিনেজকে কলকাতায় আনছেন। কলকাতার আগের দিন বাংলাদেশ ঘুরে যাবেন। মার্টিনেজের বাংলাদেশ আগমনটাও ঐ কোম্পানির মাধ্যমে।


শতদ্রু দত্ত জানান ‘মার্টিনেজ আমস্টারডাম থেকে রওনা হয়ে ৩ জুলাই ভোর পাঁচটার পর কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মীসহ ঢাকা নেমে সরাসরি হোটেলে যাবেন। কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে এক-দুই ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠান হতে পারে। এরপর আবার বিকেলের ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।’ 


আরও পড়ুন: কলকাতার আগে ঢাকায় আসছেন মার্টিনেজ


এই স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্টিনেজের সাক্ষাৎ করানোর চেষ্টা করছেন ভারতের এই ক্রীড়া উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ক্রীড়াপ্রেমী। সময় খুবই কম এরপরও চেষ্টা করছি যেন সাক্ষাতটা হয়’। 


তবে কলকাতার স্পোর্টস প্রমোটার কোম্পানির পরিকল্পনা ছিল ৩ জুলাই পুরো দিনই অথবা রাতটাও মার্টিনেজকে বাংলাদেশে রাখার। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন শতদ্রু ঢাকায় এসে। বেশি সময় মার্টিনেজ থাকলে অনেক অর্থের প্রয়োজন। ডলারের অনুমতিও সময় সাপেক্ষ। কিন্তু অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করলেও ডলার সহ নানা জটিলতা সামনে আসে। তাই মার্টিনেজ আসছেন অনেকটা শুভেচ্ছাদূত হয়েই ‘মার্টিনেজ বাংলাদেশকে ভালোবাসেন। তাই তিনি তেমন কোনো অর্থই নিচ্ছেন না এই সফর থেকে। শুধু বিমান খরচ ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান বহন করছে’। 


বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মার্টিনেজকে বরণ করে নেয়ার আগ্রহ থাকলেও তিনি যে বাংলাদেশে আসবেন-ই এই নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে মাত্র দু’দিন আগে। এরই মধ্যে ঈদের আগে শেষ অফিসের ব্যস্ততা এবং ঈদের ছুটির পরপরই সূচি পড়ে যাওয়ায় আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনেকে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়নি। 


তবে তারপরও শতদ্রু শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন মার্টিনেজ বাংলাদেশে আসুক। একজন বাঙালি হিসেবে আমার সব সময় চেষ্টা ছিল তাকে বাংলাদেশ ঘুরিয়ে আনার। মার্টিনেজ নিজেও চেয়েছে। অনেক সমস্যা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সে আসছে এটাই সুখবর- যোগ করেন শতদ্রু।  


মার্টিনেজের আগে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার এসেছিলেন জিনেদিন জিদান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url